ইলেক্ট্রিসিটি বা বিদ্যুৎ এর পরই কম্পিউটারের জন্য যে জিনিসটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল অপারেটিং সিস্টেম বা সিস্টেম সফটওয়্যার । অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারী এবং কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে । কম্পিউটারের সকল হার্ডওয়্যারের যথাযথ ব্যবস্থাপনা, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী হার্ডওয়্যার সমূহের মধ্যে পরস্পর যোগাযোগ স্থাপন, ব্যবহারকারীকে একটি সহজবোধ্য ইন্টারফেস প্রদান এবং ফাইল ব্যবস্থাপনা; এসবই হচ্ছে একটি অপারেটিং সিস্টেমের মূল কাজ । বর্তমানে অনেক ধরণের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে, যাদের মধ্যে উইন্ডোজ ৭ (Windows 7) একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম ।
মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যারটি বাজারজাত করে । বাজারজাতকরণের সময়েই মাইক্রোসফট উক্ত অপারেটিং সিস্টেমটির জন্য প্রোডাক্ট সাপোর্ট এর সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয় প্রকাশকাল থেকে ১০ বছর পর্যন্ত । এই ১০ বছরের সময়সীমা এখন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং মাইক্রোসফট তাদের বিনিয়োগকে নতুন প্রযুক্তি এবং দুর্দান্ত নতুন অভিজ্ঞতাকে সমর্থন করার উদ্দেশ্যে পুরনো অপারেটিং সিস্টেমের জন্য সাপোর্ট বন্ধ করে নতুন অপারেটিং সিস্টেমের উন্নয়নকল্পে মনোনিবেশ করেছে । সুনির্দিষ্টভাবে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৭ এর জন্য সাপোর্ট বন্ধ করে দেয় ২০২০ সালের ১৪ই জানুয়ারি । অর্থাৎ, উইন্ডোজ আপডেট থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সফটওয়্যার আপডেটগুলি যা আমাদের কম্পিউটারকে সুরক্ষিত করতে সহায়তা করে, তা আর পাওয়া সম্ভব নয়। মাইক্রোসফট দৃঢ়ভাবে সুপারিশ করে যে কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখতে এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সফ্টওয়্যার আপডেট পেতে আমরা যেন তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করি ।
কিন্তু আজ অবধি, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৪ শতাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারী উইন্ডোজ ৭ ব্যবহার করে, যার ফলস্বরূপ এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনপ্রিয় ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে পরিগণিত । এই বিপুল পরিমাণ ব্যবহারকারীর এখনো এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের জন্য নানাবিধ কারণ রয়েছে । উইন্ডোজ ৭ এর সাথে থাকার জন্য আপনার কারণ যা-ই হোক না কেন, এটি যতটা সম্ভব চালিয়ে যাওয়ার জন্য এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখার জন্য আপনাদের কিছু উদ্যোগ নিতে হবে ।
প্রথমত, আপনি যদি উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমেই থাকতে চান, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার নিজের কম্পিউটার এবং তথ্য নিরাপদ রাখার দায়িত্ব শুধুমাত্র আপনার, কারণ মাইক্রোসফট আগে যে সিকিউরিটি আপডেট সহায়তা প্রদান করত সেটি এখন আর আপনি পাচ্ছেন না । যদিও আগেও এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আপনারই দায়িত্ব ছিল, কিন্তু এখন আপনাকে আরো অনেক অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে ।
উইন্ডোজ অটো-আপডেট ডিজেবল
কম্পিউটারে উইন্ডোজ ৭ রাখার জন্য প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হল উইন্ডোজ অটো-আপডেট ডিজেবল করে রাখা । কেননা এই অপশন যদি ডিজেবল করা না হয় তবে উইন্ডোজ ৭ অটো-আপডেটের মাধ্যমে উইন্ডোজ এর সর্বশেষ সংস্করণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়ে যাবে । এটি ডিজেবল করার জন্য আপনি আপনার কম্পিউটারের Group Policy Editor থেকে উইন্ডোজ আপডেট এর Turn off the upgrade to the latest version of Windows through Windows Update অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন ।
All Comments